শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মুলাদীর সোনামদ্দিন বন্দরে বিএনপির আলোচনা সভা মুলাদীর চর বাটামারা জমির দখল পাচ্ছে না খোরশেদা আক্তার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি চায় আলি আকবার পরিবারবর্গ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অর্ন্তবর্তী সরকারের অন্যতম কাজ শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের পরিপূর্ন চিকিৎসা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আবারো এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক যৌথ অভিযানে ভোলায় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক নারীর প্রতি সহিংসতা সামজিক ব্যাধি দুর করতে হবে : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চা , সব্‌জি ও ধান বিপ্লব, আর দাপিয়ে বেড়ানো একটি সন্ত্রাসী চক্র

ধারাবাহিক সাড়াদেশ অনুসন্ধান –

৩য় পর্ব
পঞ্চগড় জেলার এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের জীবণাচারণ সহজ সরল । নারীরা অগ্রসর । বেশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তারা দূরের স্কুল কলেজে পড়তে যায় । পয়ারিবারিক ভাবে অনেক ক্ষেত্রেই আয় প্রবনতা চাষাবাদ এবং ফসলেই সীমাবদ্ধ । পুরুষেরা মাঠে কাজ করলেও নারীরা পিছিয়ে নেই সে ধারায় । তাদের কেউ কেউ মাঠেও দাপিয়ে বেড়ায় , সাথে বাড়ীর আশপাশে তরি-তরকারী এবং গবাদিপশু পালণ করে বাড়তি আয়ের সংস্থান করে । ফলে তাদের অর্থনীতি কৃষিতেই সীমাবদ্ধ ।


সাম্প্রতি আমাদের অনুসন্ধানী টিম গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে যে চিত্র দেখেছে তা আশাব্যঞ্জক বটে । গত পনর / বিশ বছর আগে যেখানে মানুষের সাথে অভাব জেঁকে থাকত সেখানে নিরবেই এক বিপ্লব ঘটে গেছে । মাঠের পর মাঠ ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে উঠেছে চা বাগান এবং অন্য ফসলের ক্ষেত । মাঝে মাঝে করল্লা বরজ । ঝাংলায় ঝুলে থাকা নানান সাইজের করল্লা সবজি বর্ষায় চোখ টেনে নেবে যে কারো ।

এই একাধিক ফসলের উৎপাদনের বহুমাত্রিক আচার নিয়ে আমাদের কথা হয় এলাকার চাষী নিপেন এর সাথে । নিপেন জানায় , আগে এক বা দুই ফসলী আবাদ হওয়ায় অভাব ঝেঁকে থাকত শ্রাবণ,আশ্বিণ ও কার্তিক মাস । অভাবে গরু-ছাগল থেকে শুরু করে পানির দামে বিক্রী করে চলতে হতো । ফসল ক্ষেতে থাকতেই পানির দামে তা বিক্রী করে দিতে হতো পরিবারের আহারের জন্য । এখন আর সেই অবস্থা এখানে নেই । প্রায় সবাই সেই অবস্থা থেকে উত্‌রে গেছে । যার কৃতিত্ব কৃষকেরা দিতে চান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কে । তিনিওই উপদেশ দিয়েছিলেন চা উত্‌পাদনের ব্যপকায়ন করতে । ধানের পাশাপাশি সাথে কয়েকটি ফসল যেমন চা, অন্যান্য সবজি ও ভুট্টা উত্‌পাদনের উদ্যোগ নিতে । যা বর্তমানে কার্যকর হয়ে অভাব পালিয়েছে । যে কেউ চাইলেই ঘর থেকে নগদ টাকা বেড় করে দিতে পারে এক লক্ষ বা পঞ্চাশ হাজার । আমাদের টিম ক্রাইম অনুসন্ধানে গেলেও এই বিষয়টি নিয়ে মাননীয় রেলমন্ত্রীর দৃষ্টিকর্ষণ করে তিনিও জানান এর পেছনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অবস্মরনীয় । তার ইচ্ছায়ই মূলত চা , ভুট্টা ও সবজি চাষে ব্যপকতা পেয়েছে ।


চা নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি কৃষক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধীদের সাথেও কথা বলেছেন । তারা এবং চা চাষীরা জানান, চা চাষে ব্যপকতা পেলেও চা পাতা ক্রয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে বলে তারা জানান । ফলে ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে না চাষীরা । এই নিয়ে কৃষকরা আন্দোলোনের ডাক দিয়ে কিছুদিন আগে মানব বন্ধনও করেছে বলে জানা যায় । এই বিষয়ে আমাদের টিম কথা বলেছে নানান পক্ষের সাথে । কৃষকদের অভিযোগের পর আমরা উপস্থিত হয়ে ছিলাম বোদা উপজেলা চেয়ারম্যান ধ্যাপক ফারুক আলম টবি’র কাছে । তিনি ন্যয্য মূল্য না পাওয়ার বিষয়টির সততা নিশ্চিত করেন । তিনি আরও জানান উপড়ের মহলের দৃষ্টিকর্ষণও করা হয়েছে বলে জানান । আমাদের টিম চা বোর্ড পঞ্চগড় প্রতিনিধি ডঃ শামীম আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে । যেই প্রক্রিয়ায় চা গাছের পরিচচর্যা নেওয়া উচিত তা এলাকায় নতুন চা চাষ শুরু হওয়ায় চাষীরা এখনো অভিজ্ঞ হয়ে উঠেনি । চা পাতা তুলতে নিয়ম-কাণূন তারা পরিপূর্ন মানছেন না অনেকেই । ফলে মানের একটু ঝামেলা হচ্ছে বলে তিনি জানান । তিনি আশা করেন দ্রুতই সমজ্ঞাণে চা চাষ বিস্তার লাভ করবে এবং মান অক্ষুন্ন থাকবে ।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চা চাষীরা দর নিয়ে কারসাজীর অভিযোগ করছেন আমাদের টিমের কাছে । এই দর নির্ধারণ করে এমনদের মধ্যেই “একটা কিছু ” হয় বলে ধারণা তাদের । যার ফলে তারা নিজেদের কাঁচা চা পাতার মূল্য পায় না বলে মনে করে চাষীরা । চা চাষে বিপ্লব ঘটলেও পরিস্থিতি অনুযায়ী মান অক্ষুন্ন রাখতে না পারা, সীমান্তে বর্ডার বাজারকেই দুষছে ফ্যাক্টরী মালিকরা । সেখানে নিম্ন মানের ভারতীয় চা বিক্রী হচ্ছে কেজীতে ৬০/৭০ টাকা কম দামে । আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তা এনে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র । চা ফ্যাক্টরী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন এমন তথ্যই দিয়েছেন আমাদের ।

উল্লেখ্য যে চা চাষী, চা ফ্যাক্টরী মালিকদের সংগঠন এবং সরকারী সংস্থার সমন্ব্য়ে “চা পাতার মূল্য নির্ধারনী কমিটি”র সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন । আমাদের টিম যোগাযোগ করে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে । তিনি জানান, সকল পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চা চাষের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে স্থানীয় ভাবে তাঁদের যতটুকু সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন এবং কিছু বিষয় যা তাঁদের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয় , তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই অভহিত করেছেন বলে তিনি আমাদের অনুসন্ধানী টিমকে জানান ।


পঞ্চগড় জেলার এই সবুজ সতেজে মিশে থাকা সাধারণ মানুষগুলো , যাদের মধ্যে ধর্ম-বর্ণ এবং রাজনীতির ভেদা-ভেদ তেমন নেই । আছে শুধু কিছু চিহ্নীত সন্ত্রাসী চক্র। যাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে নিরহ মানুষগুলো দীর্ঘদিন যাবত । যাদের পুষে রাখছে এক শ্রেণীর –

চলবে –

( বিঃদ্রঃ – ভিডিও সহ ডকুমেন্টারী আসছে )

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com